কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিএনপির অর্থসহায়তা

কক্সবাজার টেকনাফে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের এই অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে প্রাথমিকভাবে এক হাজার করে টাকা বিতরণ করেন টেকনাফ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সদস্য জুনাইদ আলী চৌধুরীসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।

এসময় টেকনাফ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সদস্য জুনাইদ আলী চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরীর নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে আমরা প্রাথমিকভাবে এক হাজার করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছি। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর গৃহনির্মাণে যা কিছু প্রয়োজন তাও সাধ্যমতো এক সপ্তাহের মধ্যে প্রদান করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে এবং সবমসময় সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মামলা-হামলার কারণে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘরে ঘুমাতে পারেনি, কোনো অসহায় পরিবারের পাশে আমরা সহজে পৌঁছাতে পারিনি। অতীতের ন্যায় এখন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের লোকজন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন (উত্তর) যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুসসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের অন্য নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে হোয়াইক্যং উলুবনিয়ার সৈয়দ আকবরের পুত্র আবুল কাশেম লালুর ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে আকস্মিকভাবে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। প্রায় আধঘণ্টার প্রচেষ্টায় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়। এসময়ের মধ্যে প্রায় ১১টি বাড়িপুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভুক্তভোগীরা।

পাঠকের মতামত: